
রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুর নগরীর গণেশপুর এলাকার বকুলতলা জান্নাতবাগ মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান।
পুলিশ ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নের বুজরুক ঝালাই গ্রামের কাঠমিস্ত্রি মনোয়ার হোসেন ভুট্টুর ছেলে সিয়াম ইসলাম (১০) চলতি বছরের ৭ নভেম্বর জান্নাতবাগ মাদ্রাসার নাজরানা শাখায় ভর্তি হয়। বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের সময় অন্য শিক্ষার্থীরা নামাজ পড়তে এলেও সিয়াম না আসায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাকে খুঁজতে থাকেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত ৯ টার দিকে মাদ্রাসা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
ঘটনাটি জানাজানি হলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় অবহিত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, শিশু সিয়ামকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এমন বেশ কিছু আলামতও উদ্ধার পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই মাদ্রাসার আব্দুর রহমান নামে এক শিক্ষক ও মোকলেছ নামে এক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় সিয়ামের বাবা মনোয়ার হোসেন ভুট্টু বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত ও ওই মাদ্রাসায় আর কেউ ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না এসব তদন্ত করা হচ্ছে।
পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত দুই আসামি শিশু সিয়ামের ওপর সংঘটিত অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, “এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।”