ইসরায়েলি রাব্বি হত্যাকাণ্ডে তিনজন গ্রেফতার, তদন্তে ইরানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি নাগরিক রাব্বি জিভি কোগানের হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার (২৪ নভেম্বর) ওমান সীমান্তবর্তী আল আইন শহর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রাব্বি জিভি কোগান নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক অর্থোডক্স ইহুদি ছাবাদ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি নিখোঁজ হন।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে সন্দেহভাজনদের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি বা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কি না, তা পরিষ্কার করা হয়নি। তবে বলা হয়েছে, “সামাজিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইসরায়েলি-ইহুদি সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতেন কোগান

২৮ বছর বয়সী রাব্বি জিভি কোগান সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করতেন। তিনি ইসরায়েল এবং মালদোভার দ্বৈত নাগরিক ছিলেন। কোগান আমিরাতে ইহুদি সম্প্রদায়ের জীবন গড়ে তোলা এবং সম্প্রসারণে কাজ করছিলেন। পাশাপাশি তিনি দুবাইয়ের একটি কোশের সুপারমার্কেট পরিচালনা করতেন।

ধারণা করা হচ্ছে, তাকে সর্বশেষ দুবাইয়ের ওই সুপারমার্কেটে দেখা গিয়েছিল। পরে তার বাড়ি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে তার পরিত্যক্ত গাড়ি উদ্ধার করা হয়।

ইসরায়েল ও আমিরাতের প্রতিক্রিয়া

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এই হত্যাকাণ্ডকে “জঘন্য ইহুদি-বিদ্বেষী সন্ত্রাসী কার্যক্রম” বলে নিন্দা জানিয়েছে। তারা দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ইসরায়েলের সাবেক রাজনীতিবিদ আয়ুব কারা জানান, এ ঘটনায় ইরানের সংশ্লিষ্টতার সন্দেহ রয়েছে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত ইরানি দূতাবাস এ অভিযোগকে “স্পষ্টভাবে অস্বীকার” করেছে।

এদিকে, ইসরায়েল তার নাগরিকদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে এবং যারা বর্তমানে সেখানে আছেন তাদের চলাফেরা কমিয়ে নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের নিন্দা

রাব্বি জিভি কোগানের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র শন সাভেট জানান, যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনার তদন্তে ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা

রাব্বি জিভি কোগানের মৃতদেহ ওমান সীমান্তবর্তী আল আইন শহরে পাওয়া গেছে। তবে তিনি সেখানেই মারা গেছেন নাকি অন্য কোথাও, তা এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের সাবেক রাজনীতিবিদ আয়ুব কারা।